বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মবার্ষিকীতে আজ মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভোরে আওয়ামী লীগের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখানে শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সরকারিভাবে জাতীয় শিশু দিবস পালিত হচ্ছে। আজ সরকারি ছুটির দিন।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছে। দিবসটি পালনের জন্য সরকারিভাবেও নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের অবিসংবাদিত এই নেতা। তাঁর সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি।
সরকারি কর্মসূচি
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দেশব্যাপী সব জেলা ও উপজেলা সদরে শিশু সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ গণমাধ্যমে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে। দেশব্যাপী সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপন করা হবে।
১৮ মার্চ বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গৃহীত কর্মসূচি দেশবাসীর সঙ্গে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য সংগঠনের সব শাখাসহ আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী, সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ছাড়া যেসব সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে সেগুলো হলো আহসান মঞ্জিল জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গমাতা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা প্রভৃতি।